‘ছোটবেলায় মা ঠিক করে দিতো ঈদের দিনে কোন সময়, কোন ড্রেসটা পরবো। এরপর নতুন ড্রেস পড়ে আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় ঘুরতে যেতাম। সঙ্গে ছোট একটা ব্যাগও থাকতো। ঈদ সালামির টাকাগুলো সেখানে জমিয়ে রাখতাম। আর কিছুক্ষণ পরপর নতুন টাকাগুলো দেখতাম। সে সময়গুলোর কথা মনে হলে দারুণ লাগে, হাসিও পায়’-এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা।
অতীতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ছোটবেলায় ঈদের সময়গুলো আমরা অনেক মজা করতাম। লুকিয়ে লুকিয়ে নতুন জামা-কাপড়গুলো দেখতাম, কখন পড়বো সেই অপেক্ষায় থাকতাম। চাঁদ রাতে সবাই মিলে মেহেদি দিতাম। মেহেদি দেওয়ার সেই আসরে সবাই মিলে অনেক মজা করতাম। সত্যি শৈশবের সময়গুলো দারুণ ছিল।’
এখন সময়গুলো কীভাবে কাটাচ্ছেন জানতে চাইলে পূর্ণিমা বলেন, ‘এখন নিজে মা হয়েছি। আমার মেয়ে আরশিয়া উমাইজার বয়স এখন পাঁচ বছর। চাঁদ রাতে মেয়ের হাতে আমি মেহেদি দিয়ে দিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘর গোছানোর কাজ শেষ করে, রান্নার দায়িত্বে নেমে পড়ি। মজার মজার সব রান্না করেছি। সারা দিনই বাড়িভর্তি মেহমান ছিল। সবার সঙ্গে আড্ডা দিলাম।’
ঈদের দিন কোন বিষয়টি আপনার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে? উত্তরে পূর্ণিমা বলেন, ‘সকাল বেলা উঠে রান্না করা। বিশেষ করে, কয়েক রকমের সেমাই রান্না করা। বছরে দুটো ঈদ ছাড়া, বছরের আর কোনো সময় এভাবে সেমাই রান্না করা হয় না।’
এবার কাজের খবর বলুন? ‘কিছু দিন পর নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের “গাংচিল” ছবির শুটিংয়ে অংশ নেবো। এর আগে, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এই ছবির শুটিং করতে গিয়ে আহত হয়েছিলাম। পাশাপাশি আরও কিছু নতুন কাজের বিষয়ে কথা হচ্ছে। দেখা যাক কি হয়।’